স্টুডেন্টরা অবশ্যই দেখুন-সার্টিফিকেটে নাম,জন্মতারিখ ভুল হলে করণীয়
এ ধরনের বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয় অনেকেরই। নিজের নাম তো বটেই,
অনেক ক্ষেত্রে বাবা বা মায়ের নামও ভুল লেখা হয় সনদে। সার্টিফিকেটে নাম বা
জন্মতারিখ ভুল লেখা হলে কী করবেন, কিভাবে তা সংশোধন করবেন তা বুঝতে পারেন
না অনেকেই। তবে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড,
ঢাকার চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন জানালেন, সার্টিফিকেটে নামের বানান
বা জন্মতারিখ ভুল হলে গড়িমসি না করে যত দ্রুত সম্ভব এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া
উচিত। জন্মতারিখ ভুল হলে পাসের সাল থেকে পরবর্তী দুই বছরের মধ্যে সংশোধন
করতে হয়। সাধারণত এর পর আর তা সংশোধন করা হয় না। তবে বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে
পুনর্বিবেচনা করা হয়।
নাম বা জন্মতারিখের ভুল সংশোধনের জন্য
প্রথমে একটি দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে। বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীর
সার্টিফিকেট নাম, বাবার নাম, মায়ের নাম, শাখা, পরীক্ষার সাল, পরীক্ষা
কেন্দ্রের নাম, রোল নম্বর, বোর্ডের নাম এবং জন্মতারিখ উল্লেখ করে যা সংশোধন
করতে চান (প্রার্থীর নাম, বাবার নাম, মায়ের নাম বা জন্মতারিখ) তা সংক্ষেপে
উল্লেখ করতে হবে।
পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর আপনাকে
যেতে হবে যে শিক্ষা বোর্ডের অধীন পরীক্ষা দিয়েছেন সেই বোর্ডে। শিক্ষা
বোর্ডের ‘তথ্য সংগ্রহ কেন্দ্র’ অথবা ‘বৃত্তি বিভাগ’ থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ
করতে হবে। আবেদনপত্র সংগ্রহের পর নির্ভুলভাবে পূরণ করতে হবে। প্রার্থীর
নাম, বাবার বা মায়ের নাম কিংবা জন্মতারিখ সংশোধনের জন্য (জরুরি ফিসহ) ৫০০
টাকা জমা দিতে হয়। এ ফি সোনালী ব্যাংকের ডিমান্ড ড্রাফটের মাধ্যমে বোর্ডের
সচিব বরাবর জমা দিতে হবে। টাকা জমা হওয়ার পর আবেদন কার্যকর হবে।
আবেদনপত্রের সঙ্গে ব্যাংক ড্রাফটের মূল
কপি, পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির কাটিং, মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার
সার্টিফিকেটের সত্যায়িত ফটোকপি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানকর্তৃক সত্যায়িত এক
কপি পাসপোর্ট আকারের ছবি এবং প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট বা নোটারি
পাবলিকের কাছে নাম বা জন্মতারিখ সংশোধন সম্পর্কে এফিডেভিট করে তার মূল কপি
জমা দিতে হবে। প্রার্থীর নিজের নাম সংশোধনের ক্ষেত্রে তাঁর বয়স যদি ১৮
বছরের বেশি হয়, তাহলে তিনি নিজেই এফিডেভিট করতে পারবেন। প্রার্থীর বয়স যদি
১৮ বছর পূর্ণ না হয় বা প্রার্থী যদি তার মা-বাবার নাম সংশোধন করতে চান,
তাহলে নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে প্রার্থীর বাবা কর্তৃক প্রথম শ্রেণীর
ম্যাজিস্ট্রেট বা নোটারি পাবলিকের কাছ থেকে এফিডেভিট করতে হবে এবং মূল কপি
জমা দিতে হবে।
নাম ও জন্মতারিখ সংশোধনের জন্য আবেদন
গ্রহণের এক মাসের মধ্যে বোর্ড আবেদনকারী এবং তাঁর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একজন
শিক্ষকসহ একটি মিটিংয়ে বসে। এ মিটিংয়েই প্রার্থীর আবেদন যাচাই-বাছাই করে
সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়_জানালেন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকার
উপসচিব (বৃত্তি) মো. নিয়াজুর রহমান। তিনি আরো জানান, মিটিংয়ে বসার
নিদেনপক্ষে ১০ থেকে ১৫ দিন আগেই আবেদনকারীর ঠিকানায় চিঠি দিয়ে জানানো হয়।
জরুরি প্রয়োজনের ক্ষেত্রে বোর্ডের চেয়ারম্যানের বিশেষ বিবেচনায় একদিনের
মধ্যেও নাম ও জন্মতারিখ সংশোধন করার সুযোগ আছে।
স্টুডেন্টরা অবশ্যই দেখুন-সার্টিফিকেট-নম্বরপত্র বা প্রবেশপত্র হারিয়ে গেলে করণীয়
উৎস : দৈনিক কালের কন্ঠ

No comments:
Post a Comment